রবিবার, মে ১৯, ২০২৪
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
|
শিরোনাম : * চিতলমারীতে দুই চেয়াম্যান প্রার্থীর ঘুম নাই। কর্মী সমার্থকদের শ্লোগান “খেলা হবে”।   * চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রত্যাশা ভোটারদের।   * স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কুড়িগ্রামের কৃর্তিসন্তান আব্রাহাম লিংকনকে নাগরিক সংবর্ধনা   * কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী   * সাড়ে ৫০০ কোটি টাকার দেনা শোধ করেছি -বললেন মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী;   * কক্সবাজারের ইনানীতে হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের পূর্ণাঙ্গ প্রশিক্ষণ কেন্দ্র   * কক্সবাজারে বিজিবির অভিযানে দুই কেজি ক্রিস্টাল মেথ আইস জব্দ   * ৮ম জাতীয় ইয়োগাসানা স্পাের্টস চ্যাম্পিয়নশিপ-২০২৩ এবাংলাদেশ আনসার চ্যাম্পিয়ন ও কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থা রানার্স আপ;   * তথ্য অপব্যাখ্যা ও তথ্য গুজব চক্রান্তকারীরাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি :   * তথ্য অপব্যাখ্যা ও তথ্য গুজব চক্রান্তকারীরাদের বিরুদ্ধে তীব্র নিন্দা জানিয়ে প্রতিবাদ বিজ্ঞপ্তি :  

   প্রবন্ধ
সবার ‘দুদু’ জনাব মোঃ আমিনুল ইসলাম
  Date : 06-01-2021

“দ্বীনের এক নিশাচর পাখি”
সমাজসেবা যার অলংকার
সবার ‘দুদু’
জনাব মুঃ আমিনুল ইসলাম

আর্ন্তজাতিক খ্যাতি সম্পন্ন কবি, শিল্পী ও সাহিত্যিক জনাব মতিউর রহমান মল্লিকের একান্ত ঘনিষ্ঠজন জনাব আমিনুল ইসলাম ফকির ইংরেজি ১৯৫৫ ইং সালে কচুয়া উপজেলার এক নিভৃত পল্লী টেংরাখালী গ্রামের এক অভিজাত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। গ্রামেই তিনি বড় হয়ে ওঠেন,মূলতঃ কচুয়া উপজেলার শ্রেষ্ঠ বিদ্যাপিঠ সি.এস.পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃৃতি ছাত্র হিসেবে তাঁর শিক্ষা জীবন শুরু হয়। তাঁর পিতা মরহুম সিরাজউদ্দীন ফকির এলাকার স্বনামধন্য সমাজ সেবক হিসেবে তাঁর সুখ্যাতি আছে ; উপজেলার অন্যতম সিনিয়র মাদ্রাসার উন্নয়নে তাঁর বিশেষ অবদান রয়েছে। জনাব আমিনুল ইসলামের বড় ভাই বিশিস্ট আইনজীবী এবং রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব এ্যাডঃ মুনসুর আলী ফকির অনেক সুনামের সাথেই বাগেরহাটের বার সমিতি পরিচালনা করছেন। কয়েক মাস হলো তিনি মৃত্যুবরণ করেছেন।
ছাত্র জীবন থেকেই তিনি সবার প্রিয় ছিলেন। তার এক ভাইপো মোঃ জাহিদুল ইমন (বাবুল ফকির) খুব মেধাবী ছাত্র ছিলো। সি.এস.পাইলট স্কুলের বাবুল ক্লাসে ফার্স্ট বয় ছিলো সবাই তাকে আদর করতো আর বাবুল তার চাচা আমিনুলকে চাচা না বলে ‘দুদু’ বলে ডাকতো। এতে, আমিনুল ইসলাম সাহেব খুব খুশী হতেন। তবে, তার মুখে ডাকা ‘দুদু’ নামটি সবার মুখে মুখে থাকলেও, সেই বাবুল এস.এস.সি. পাশ করার আগেই চলে গেলেন। পানিতে পড়ে তিনি মৃত্যু বরন করে। আমরা তার রুহের মাগফিরাত কামনা করি। বাবুল চলে গেলেও, তার মধুমাখা ডাক জনাব আমিনুল ইসলাম সাহেবের বন্ধুরা ধরে রেখেছেন। আজও সর্বস্তরের মানুষ তাকে দুদু বলে ডাকে। সবাই বাবুলের স্মৃতি রক্ষার্থে দুদু নামে ডাকুক, এটাই সবার কাম্য।
সেই ৬ষ্ট শ্রেনী থেকেই জনাব আমিনুল ইসলাম সাহিত্য, সংস্কৃতি ও দ্বীনেদায়ী হিসেবে কাজ করে চলেছেন। আজও করছেন। কোনো কোনো সময়ে ভালো বক্তা পেলে ওয়াজ শুনতেন। ওয়াজ শুনে বেড়ানো ছিল তাঁর শখ। পরিনত বয়সে তিনি আমাকে নিয়ে যে কত মাহফিলে যেতেন তার ইয়াত্তা নেই। জীবনের এক অধ্যায়ে তিনি উদ্ভিদ বিদ্যার (ইড়ঃধহু) এর ছাত্র ছিলেন। বিধায়, কৃষি কাজের প্রতি তাঁর ছিল প্রবল আগ্রহ। যার কারণে,তিনি চাষী সমিতি করে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের চাষীদের সহযোগিতা করেছেন। ব্যক্তি জীবনে তিনি দুই সন্তানের পিতা,ছেলে শাকিল দেশের কৃতি ছাত্র। ফল ,ফুলের বনায়ন করা তার নেশা, পিতার সখ বাস্তবায়ন করার জন্য শাকিল বাড়ীর সামনে সুবৃহৎ ফল ও ফসলের বাগান করে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। দেশ ও জাতির উন্নয়নে কাজ করে চলেছে। শাকিল প্রায় সময় বলতোঃ শিক্ষা,সাহিত্য ও সংস্কৃতির পাশাপাশি দেশের উন্নয়নের জন্য তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগানকে অনুসরন করা উচিত।
দেশের সামগ্রিক উন্নয়নে এরদোগান এখন বিশ্বের মডেল হিসেবে সুখ্যাতি অর্জন করে চলছেন। আরব বিশ্বের গর্ব এরদোগানের নাম এখন সবার মুখে মুখে। শাকিল তার পিতার উদ্যোগ কে এগিয়ে নিতে বাড়ীর সামনে ফলের বাগান করেছে। আমারা এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই।
শিক্ষানুরাগী জনাব আমিনুল ইসলাম ফকির শত কাজের পাশাপাশি দরিদ্র ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের লালন করতেন। তাঁর ¯েœহ-আদরে কতো ছেলে যে বড় হয়েছে, তা’ বলা মুশকিল।
আজকের মানবাধিকার খবর পত্রিকার সম্পাদক ও উপজেলার কৃতি সন্তান বিশিষ্ট সাংবাদিক জনাব রিয়াজ উদ্দীনের উত্থানে তাঁর ভুমিকা ছিল অনন্য। তিনি উপজেলা সদরের সি.এস.পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের কৃতি ছাত্র। জনাব রিয়াজের আন্তজার্তিক মানবাধিকার পুরস্কার পেয়েছেন শুনে তিনি খুশি হয়েছেন। কতো মানুষ চাকরি নিয়ে দেশে-বিদেশে বেঁচে আছে এবং প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তার ইয়াত্তা নেই। জনাব রিয়াজের মতো কতো ছাত্র যে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, তা’ গুনে শেষ করা যাবে না। ষাটোর্ধ বয়সের জনাব আমিনুল ইসলাম একজন সফল শিক্ষক ছিলেন। তাঁর পিতার পিতা আলহাজ্ব সিরাজ উদ্দীনের অর্থায়নে কত ছাত্র যে পড়াশুনা করেছেন, তার হিসাব নেই। আল্লাহ তাঁর পিতাকে জান্নাত নসীব করুন এ দোয়া করি।
সারা জীবন আমাদের মত সাধারন মানুষদেরকে তিনি লালন করেছেন। লেখাপড়া শিখিয়ে মানুষ করেছেন। পড়াশুনার প্রতি তাঁর ঝোঁক অতীতে যেমন ছিলো,আজও তেমনি আছে।
শ্রদ্ধেয় আমিনুল ইসলাম সাহেব দেখা হলে প্রায়ই বলেন শেষ জীবনে অনেক ভালো বই হাতে এসেছে। কিন্তু, পড়ে এগুতে পারিনা বয়সের কারণে। লেখার কলেবর বৃদ্ধির কারণে, আবারো অন্য কোনো এক সময়ে জনাব আমিনুল ইসলাম দুদুর কৃীর্তিগাঁথা শুনবো। এ আশা নিয়ে শেষ করতে হচ্ছে। মহান আল্লাহর কাছে তাঁর দীর্ঘ্যায়ু ও সুস্থতা কামনা করি।



  
  সর্বশেষ
চিতলমারীতে দুই চেয়াম্যান প্রার্থীর ঘুম নাই। কর্মী সমার্থকদের শ্লোগান “খেলা হবে”।
চিতলমারী উপজেলা নির্বাচন লেভেল প্লেইং ফিল্ড প্রত্যাশা ভোটারদের।
স্বাধীনতা ও একুশে পদকপ্রাপ্ত কুড়িগ্রামের কৃর্তিসন্তান আব্রাহাম লিংকনকে নাগরিক সংবর্ধনা
কচুয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী

Md Reaz Uddin Editor & Publisher
Editorial Office
Kabbokosh Bhabon, Level-5, Suite#18, Kawran Bazar, Dhaka-1215.
E-mail:manabadhikarkhabar11@gmail.com
Tel:+88-02-41010307
Mobile: +8801978882223 Fax: +88-02-41010308